sewage cleanup | Primary Treatment | Inspection pit, concrete septic tank

 sewage cleanup | Primary Treatment | Inspection pit, concrete septic tank

sewage cleanup | Primary Treatment | Inspection pit, concrete septic tank


sewage cleanup | Primary Treatment | Inspection pit, concrete septic tank

পয়ঃপরিবহন ও পরিশোধন পদ্ধতি

পয়ঃ (Sewage) হচ্ছে পানিময় মল বা মলময় পানি। ঘরবাড়ি, কল-কারখানা, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, অফিস ইত্যাদি থেকে মানুষ ও অপরাপর জীব জন্তুর মলমূত্র এবং সেই সাথে গোসলখানা, রান্নাঘর, শিল্প কারখানা কসাইখানা ইত্যাদি থেকে আগত ধোয়ানিকে একত্রে সিউয়েজ বা পয়ঃমল বলে। সিউয়েজের ৯৯.৫% পানি এবং বাকি ০.৫% পচনশীল, দুর্গন্ধযুক্ত ও ক্ষতিকর পদার্থ। তাই খোলাভাবে ও প্রকাশ্যে সিউয়েজ পরিবহন বা অপসারণ করা উচিত নয়। 

বসত এলাকা থেকে সিউয়েজ বা পয়ঃপরিবহনের কাজকে দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। যেমন-

 (ক) কনজারভেন্সি পদ্ধতি 

(খ) পানিবাহিত পদ্ধতি ।


ক) কনজারভেন্সি পদ্ধতি (Conservancy System) 

এ পদ্ধতিতে কোনো নির্দিষ্ট বিশেষ স্থানে বর্জ্য পদার্থ জমা করা হয়। সেখান থেকে ট্রলি, ঠেলাগাড়ি বা ট্রাকে ভরে বসত এলাকা থেকে দূরে কোনো নির্ধারিত জনশূন্য এলাকায় পতিত জমিতে ফেলে দেয়া হয়। সেখানে পচনশীল অংশ প্রাকৃতিক নিয়মে মাটির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় এবং বাদ বাকি অংশ শুকিয়ে যায়। এ পদ্ধতিতে বর্জ্য পদার্থ অপসারণের পুরো কাজটিই অস্বাস্থ্যকর। এ পদ্ধতির প্রচলন বর্তমানে নেই বললেই চলে।


খ) পানিবাহিত পদ্ধতি (Water Carriage System) 

এ পদ্ধতিতে পয়ঃপরিবহন একটি অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় প্রচুর পরিমাণে পানির সাহায্যে পয়ঃ পরিবহন করে পরিশোধন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। শোধন কেন্দ্রে পয়ঃ বা সিউয়েজকে নানা উপায়ে শোধন করে কৃষিকাজের সার হিসেবে, নিচু জমি ভরাট কাজে অথবা পানি সেচ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পয়ঃ বা সিউয়েজ থেকে শোধনের সময় উৎপন্ন গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

sewage cleanup | Primary Treatment | Inspection pit, concrete septic tank


অন্য পোষ্ট : machine shop | machine shop flint | little machine shop

পয়ঃ বা সিউয়েজ পরিশোধন পদ্ধতি

সিউয়েজ একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, অপরদিকে তেমনি দৃষ্টিকটু। এতে নানা প্রকার রোগজীবাণু থাকে। পচনশীল বর্জ্য পদার্থ থেকে দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয়ে পরিবেশকে দূষিত করে। রোগজীবাণুগুলো পানির সাথে মিশে নানা প্রকার রোগ ছড়াতে পারে। তাই সিউয়েজকে পরিশোধনের প্রয়োজন হয়। পরিশোধনের পর সিউয়েজ নদী-নালায় অপসারণ করা যায় বা সেচ বা সেচ কাজে ব্যবহার করা যায়। অপরিশোধিত সিউয়েজ খুবই ক্ষতিকর, দুর্গন্ধ ছড়ায়, রোগজীবাণু সৃষ্টি করে এবং পরিবেশকে দূষিত করে। এ ক্ষতিকর সিউয়েজকে অক্ষতিকর পদার্থে রূপান্তর করাকেই সিউয়েজ বা পয়ঃপরিশোধন বলে।


পয়ঃ বা সিউয়েজ পরিশোধন পদ্ধতি প্রধানত দুই প্রকার। যথা

ক) প্রাথমিক শোধন

খ) চূড়ান্ত শোধন।

ক) প্রাথমিক শোধন (Primary Treatment) 

প্রাথমিক শোধন প্রকৃতপক্ষে সিউয়েজ শোধনের প্রস্তুতিকরণ পর্ব। এ পর্বের মূল উদ্দেশ্য হলো সিউল্লেজের সাথে প্রবাহিত ভাসমান অজৈব কঠিন পদার্থ যেমন পাথরকুচি, কাঁকর, বালি, কাদামাটি এবং সেই সাথে তেল, চর্বি, গ্রিজ জাতীয় পদার্থ অপসারণ করা, যাতে চূড়ান্ত শোধন প্রক্রিয়ায় চাপ কম পড়ে এবং যথাযথভাবে চূড়ান্ত শোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।

প্রাথমিক শোধন প্রক্রিয়ায় নিচে লিখিত পর্যায়গুলোর প্রয়োজন হয়।

১) মোটা ছাঁকনি

এ পর্যায়ে সিউয়েজের সাথে ভাসমান কঠিন পদার্থ যেমন- পাথরকুচি, কাঁকর এবং এ জাতীয় অন্যান্য পদার্থ পৃথক করা যায়।

২) মিহি ছাঁকনি

প্রাথমিক শোধনের এ ধাপে অপেক্ষাকৃত ছোট পাথর, কাঁকর, বালি, কাদা এবং এ জাতীয় অন্যান্য পদার্থকে সিউয়েজ থেকে পৃথক করা যায়।

৩) কাঁকর, বালি, কাদা অপসারণ কক্ষ

এ কক্ষে সিউয়েজকে দ্বিতানো হয় বলে অতি ক্ষুদ্র কাঁকর, বালি, কাদা ইত্যাদি অপসারণ ট্যাংকের তলায় তলানি হিসাবে জমা হয়। এ সময় যথাযথভাবে তলানি পড়ার জন্য সিউয়েজকে ট্যাংকে অবরোধ করে রাখা হয়।

৪) স্কিমিং ট্যাংক

শোধনের এ পর্যায়ে ভেল, চর্বি, গ্রিজ জাতীয় পদার্থ অপসারণের জন্য স্কিমিং ট্যাংক ব্যবহার করা হয়। ফলে সিউয়েজ হতে তেল, চর্বি, প্লিজ জাতীয় পদার্থ পৃথক হয়।


অন্য পোষ্ট : আর্ক ওয়েল্ডিং কাকে বলে? আর্ক ওয়েল্ডিং কত প্রকার ও কি কি - আর্ক ওয়েল্ডিং কি

খ) চূড়ান্ত শোধন (Final Treatment) 

এ পর্যায়ে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অনুজীব দূর করা হয়। ছাঁকা সিউয়েজকে প্রথমে একটি প্রাথমিক অবক্ষেপণ বা থিতানো কক্ষে নেয়া হয়। সেখানে অপেক্ষাকৃত ভারী থিতানোযোগ্য কঠিন পদার্থ কক্ষের তলাদেশে স্লাজ আকারে থিতিয়ে পড়ে। এ কাজগুলো অবক্ষেপণ কক্ষ, সেপটিক ট্যাংক, ইনহোফ ট্যাংক এবং কেমিক্যাল প্রিসিপিটেশন ট্যাংক-এর সাহায্যে করা হয়। আয়তাকার ও বৃত্তাকার অবক্ষেপণ ট্যাক্সক দুটোর ছবি চিত্র-৩৯ ও ৪০-এ দেখানো হয়েছে।

সিউয়েজ ভর্তি অবক্ষেপণ ট্যাংকের উপরিভাগে অধিকতর স্বচ্ছ তরলে যেসব হালকা সূক্ষ্ম কোলয়েড কণা থাকে, ঐগুলোকে অনুস্রবণ ফিন্টার কক্ষে সবাত বিয়োজন (Aerabic Decomposition) -এর জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। বিয়োজিত তরল পুনরায় অপর একটি চূড়ান্ত অবক্ষেপণ কক্ষে নেয়া হয়। সেখানে বিয়োজিত হালকা সূক্ষ্ম কণাগুলো স্লাজ আকারে অবক্ষেপণ পাত্রের তলায় থিতিয়ে পড়ে। ঐ কক্ষে তরল ৮০% - ৯০% অক্ষত অবস্থায় পৌঁছে। এ তরলকে ক্লোরিনের সহায়তায় জীবাণুমুক্ত করে নদ-নদীতে অপসারণ করা হয় বা সেচ কাজে লাগানো হয়।

অবক্ষেপণ কক্ষগুলোর তলদেশে থিতিয়ে পড়া স্লাজ ক্ষতিকারক। তাই এ স্লাজকে শোধন করতে স্লাজ পরিপাক কক্ষে পাঠানো হয়। সেখানে স্লাজে অবাত বিয়োজন ঘটার ফলে স্লাজ বিশ্লেষিত হয়ে গ্যাস, তরল ও কাদায় পরিণত হয়। এভাবে স্লাজ হতে গ্যাস উৎপন্ন হয়, যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য মজুত কক্ষে সংরক্ষিত হয়।

নিঃসৃত তরল প্রাথমিক অবক্ষেপণ কক্ষে ফেলা হয় এবং বিয়োজিত কর্দমাক্ত স্লাজ শুকাতে স্লাজ শুকানো ভূমিতে পাঠানো হয়। স্লাজ শুকানোর পর সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।


ইন্সপেকশন পিটের প্রয়োজনীয়তা,আকার ও অবস্থান

ইন্সপেকশন পিটের প্রয়োজনীয়তা

ইন্সপেকশন পিট বলতে বোঝায় পরিদর্শন কক্ষ। এটি একটি চৌবাচ্চা বিশেষ, যা মাটির নিচে বাস্ত-মল পাইপের প্রতিটি বাঁকে ও বিভিন্ন দিক থেকে আগত কয়েকটি পাইপ ও বাস্তু-মল পাইপের সংযোগস্থলে নির্মাণ করা হয়। এর প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ :

ক) মানুষ বা জীবার পরিত্যক্ত বা মলমূত্র নির্বিঘ্নে সেপটিক ট্যাংকে পৌঁছে দেয়। 

খ) কোন কারণে সিউয়েজ লাইনে আবদ্ধতা বা কোনোরূপ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে পরিদর্শন করে তা জানা যায় ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।

গ) নিউয়েজ লাইনে সমস্যা দেখা দিলে যাতে পুরো লাইন তুলতে না হয়।

ঘ) সিউয়েজ লাইনের প্রতিবন্ধকতার নির্দিষ্ট স্থানটি চিহ্নিতকরণে জন্য।

ঙ) বাকের মুখে সিউয়েজকে সহজে প্রবাহের জন্য।

চ) সিউয়েজ লাইন রুটিন পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণ, তত্ত্বাবধান ও পরিষ্কারকরণের জন্য।


অন্য পোষ্ট : টিউবওয়েল - নলকূপ - নলকূপ মেকানিক কাজ কি - পানির স্তর

ইন্সপেকশন পিটের আকার

ইন্সপেকশন পিট-এর তলদেশ সাধারণত বর্গাকার হয়ে থাকে। এর প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ২০ হবে এবং গভীরতা ভূগর্ভে বাল্ব-মল পাইপের ওপর নির্ভর করে। তবে গভীরতা সচরাচর ২০ হয়ে থাকে। এ কক্ষের দেয়ালগুলো ১০” ইটের গাঁথনি দিয়ে তৈরি এবং ভেতর দিকে সিমেন্ট বালির আস্তর দেয়া থাকে। পিটের মেঝে সিমেন্ট কংক্রিটের তৈরি এবং নীট সিমেন্ট ফিনিশিং দেয়া থাকে। মেঝের ঢাল এমন থাকে যাতে মাঝখানে একটি নালার সৃষ্টি হয়। ইন্সপেকশন পিটের ওপরে ১০ সেঃমিঃ পুরু আরসিসি স্ল্যাব ঢালাই করে ঠিক মাঝখানে লোহার রিং-এর বায়ুরোধক ঢালাই লোহার ঢাকনা বসানো থাকে।


ইন্সপেকশন পিটের অবস্থান নিম্নরূপ

ক) সিউয়ার নর্দমা সোজা পথে এবং একই ঢালে হলে প্রতি ১০০ ফুট পর পর ইন্সপেকশন পিট তৈরি করতে হয়। 

খ) মাটির নিচে বাস্তু-মল পাইপের প্রতিটি বাঁকে ইন্সপেকশন পিট থাকে। 

গ) বিভিন্ন দিক থেকে আগত কয়েকটি পাইপ এবং বাস্তু-মল পাইপের সংযোগ স্থলে ইন্সপেকশন পিট থাকে।


সেপটিক ট্যাংকের প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকারিতা 

যেসব এলাকায় কোনো সিউয়ারেজ ব্যবস্থা নেই যেমন গ্রামাঞ্চল বা আধা-পৌর এলাকা, সেখানে মানুষের মলমূত্র নিষ্কাশনের জন্য বাড়ি-ঘর, অফিস-আদালত ইত্যাদিতে পৃথকভাবে ভূগর্ভে ইট বা সিমেন্ট কংক্রিটের তৈরি পানিরোধী যে আয়তাকার চৌবাচ্চা নির্মাণ করা হয়, এটিই সেপটিক ট্যাংক।


সেপটিক ট্যাংকের প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ

১) পরিত্যক্ত মলমূত্র কোনো প্রকার অস্বস্তিকর বা অনিরাপদ অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে না। 

২) স্বাস্থ্য সম্মতভাবে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখে।

৩) বায়ু ও পানিকে দূষণমুক্ত রাখে। 

৪) রোগজীবাণুর কবল থেকে মানব জীবনকে রক্ষা করে।

অতএব, বলা যায় উল্লিখিত কাজগুলো সমাধার জন্য সেপটিক ট্যাংকের প্রয়োজন অপরিহার্য।


অন্য পোষ্ট : পানির পাম্প - পাম্প কত প্রকার - air lift pump - classification of pumps

সেপটিক ট্যাংকের কার্যকারিতা

পায়খানা থেকে সিউয়েজকে সরাসরি সেপটিক ট্যাংকে না এনে ইন্সপেকশন পিটের মাঝ দিয়ে নিয়ে আসা উচিত। সিউয়েজকে কার্যকরভাবে থিতানোর জন্য প্রবেশ পথ ও নির্গমন পথের মাঝে কোনোরূপ প্রত্যক্ষ স্রোত থাকা উচিত নয়। তাই প্রবাহের গতিপথ পরিবর্তনকারী T- পাইপ প্রবেশপথ ও নির্গমনপথের মুখে অথবা প্রবেশপথ ও নির্গমনপথের খুব কাছে অবরোধক দেয়াল স্থাপন করা হয়। ফলে তরলের মাঝে কোনো ঢেউ বা ঘূর্ণিপাক হতে পারে না। তাই তরলের উপরিভাগের পুরু ফেনার আস্তরণটি অক্ষত থাকে। ফেনার আস্তরণটি অক্ষত থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেননা, এ আস্তরণ তার নিচে তরলের দুর্গন্ধকে বাইরে বের হতে দেয় না এবং তরলের ওপরে তাপ অন্তরক স্তর হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া তরলকে একই তাপমাত্রায় থাকতে সাহায্য করে। এর ফলে জীবাণুঘটিত বিয়োজন ক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। সেপটিক ট্যাংকে খুব বেশি লম্বা না করে পার্টিশন দেয়াল দিয়ে দুইটি বা তিনটি সমান কক্ষে ভাগ করে দিতে হয়। এতে ভাসমান কণার অতিক্রান্ত হবার পথ তথা থিতিয়ে পড়ার সময় বেড়ে যাবে এবং ঐ সব কণা সুষ্ঠুভাবে থিতিয়ে পড়বে। সেপটিক ট্যাংকের নির্গমন পথে কোনো স্রোত এবং ভাসমান কণা থাকা উচিত নয়। নির্গমন পথটি প্রবেশপথ অপেক্ষা ৫ সে.মি. থেকে ৭.৫ সে.মি. নিচে থাকা উচিত। সেপটিক ট্যাংকের উপরিভাগ R.C.C স্ল্যাব দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এতে দুর্গন্ধ বাইরে ছড়াবে না এবং ভেতরের তাপমাত্রার হেরফের কম হবে। সেপটিক ট্যাংকের ভেতরের গ্যাস বের করে দিতে একটি গ্যাস নির্গমন ভেন্ট পাইপকে ট্যাংকের সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়। সেপটিক ট্যাংকের তলদেশে বিয়োজিত স্লাজ কমপক্ষে ৬ মাস পর পর অপসারণ উচিত।


সোকপিট-এর প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকারিতা

সোকপিট প্রকৃতপক্ষে মাটির নিচে কাটা একটি গর্ত বা কূপবিশেষ। এটি মাটির নিচে পানিতল পর্যন্ত প্রসারিত হয়। সোকপিট ৯০ সে.মি. ব্যাসের গোলাকার কুয়া আকারের চৌবাচ্চা বিশেষ, যা সেপটিক ট্যাংকের সাথে শোষক হর্ত হিসেবে কাজ করে।


প্রয়োজনীয়তা

সোকপিটের প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ

১) সেপটিক ট্যাংক থেকে নির্গত তরলকে অক্ষতিকারক অবস্থায় রূপান্তরের জন্য।

২) সেপটিক ট্যাংক থেকে যে তরল নির্গত হয়, তা কালো বা ছাই রঙের এবং দুর্গন্ধযুক্ত ও ক্ষতিকারক। ঐ তরলকে অক্ষতিকারক অবস্থায় রূপান্তরের প্রয়োজনে।

৩) সোকপিট ছাড়া সেপটিক ট্যাংকের ব্যবহার অনুচিত বলে সোকপিটের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।


কার্যকারিতা

সোকপিটের একেবারে তলায় কিছু পরিমাণ বালি এবং তার ওপর ৫০ মি.মি. থেকে ৭৫ মি.মি. আকারের ইটের টুকরো বিছানো হয়। পুনরায় এর ওপর বালি এবং তার ওপর আবার ছোট-বড় ইটের টুকরোর স্তর বিছানো থাকে। একইভাবে কয়েকটি স্তরে বালি ও খোয়া বিছানো থাকে। সোকপিট বসতবাড়ি থেকে বিশেষত কুয়া, ইঁদারা, পুকুর ইত্যাদি থেকে দূরে তৈরি করা উচিত। সেপটিক ট্যাংক থেকে কমপক্ষে ২.৫ মি. দুরে সোকপিট তৈরি করা উচিত। এর সবচেয়ে কম ব্যাস ৯০ সে.মি. এবং গভীরতা ১০০ সে.মি.।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url