underground water line | surface water definition | coagulation, chlorination

underground water line | surface water definition | coagulation, chlorination

underground water line | surface water definition | coagulation, chlorination

underground water line | surface water definition | coagulation, chlorination


 পানির উৎস এবং বিশুদ্ধকরণ (Source of Water and Purification)

পানির প্রাথমিক উৎস বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাত। পৃথিবী পৃষ্ঠের বিভিন্ন জলাধার থেকে সূর্য তাপে বাষ্পীভূত পানি মেঘে রূপান্তরিত হয়। এ মেঘ আবার বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, শিশির, কুয়াশা, তুষার মাটির নিচে ভূ-পৃষ্ঠে পতিত

হয়। পতিত পানির কিছু অংশ নিচে প্রবেশ করে এবং সম্পৃক্ত স্তর সৃষ্টিপূর্বক তথায় জমা হয়। পানির এ অংশকে ভূ-গর্ভস্থ পানি (Underground Water) বলে। অপরকিছু অংশ সরাসরি কোনো জলাধারে এবং কিছু অংশ ভূ-পৃষ্ঠের ওপর পড়ে। পানির এ অংশকে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি (Surface water) বলে। ভূ-পৃষ্ঠের ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির কিছু অংশ বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুমণ্ডলে ফিরে যায় এবং কিছু অংশ গাছ পালা শোষণ করে নেয়।

নাগরিক জীবনের সুস্থতার জন্য আদর্শ পানীয়জল একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু উৎস হতে যে পানি সংগ্রহ করা হয়, তা অপরিশোধিত এবং পানের অযোগ্য। পানিকে পরিশোধিত করে তবে জনপদে সরবরাহ করা হয়। পানি

underground water line | surface water definition | coagulation, chlorination


বিশুদ্ধকরণের মূল উদ্দেশ্য হলো :

ক) রোগজীবাণুমুক্ত করে পানিকে পানের উপযোগী করা। 

খ) স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ ও দ্রবীভূত গ্যাস দূরীকরণ ।

গ) পানির খরতা দূর করা।

ঘ) শিল্প কারখানায় ব্যবহার উপযোগী করা।

ঙ) পানি পরিবহন পাইপকে 'Corrosion' ও ' Tuberculation' মুক্ত করা।


অন্য পোষ্ট : Measuring Tools | Folding Rule | End Rule | Hook Rule | Feeler Gauge

উৎস থেকে গংগৃহীত পানিকে নিচে লিখিত পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে বিশুদ্ধকরণ বা পরিশাধন করা হয় :

১) স্ক্রিনিং (Screening)

২) প্রাথমিক পরিশোধন ( Clarification)

৩) বায়ু সম্পৃক্তকরণ (Aeration) 

8) থিতানো (Sedimentation)

৫) পরিশ্রাবণ (Filtration) 

৬) জীবাণু মুক্তকরণ (Disinfection)

৬) মৃদুকরণ (Softening)

৮)_কার্যকর-কার্বন_প্রয়োগ_পদ্ধতি_[Activated carbo_ application]

৯) ফ্লোরিন দূরীকারণ (Fluoridation )

১০) পুনঃকার্বনায়ন (Recarbonization) 

১১) খনিজ দ্রব্য দূরীকরণ (Demineralization)

১২) লবণ মুক্তকরণ (Desaltanization)

১৩) তেজস্ক্রিয় পদার্থ দূরীকরণ (Removal of radio-active materials)


 পানির উৎস

পানির উৎস দুইটি, যথা

ক) ভূ-গর্ভস্থ পানি। যেমন- ঝর্ণা, কূপ, নলকূপ, অনুত্ৰৰণ সুড়ঙ্গ, অনুপ্ৰৰণ নল ইত্যাদি। 

খ) ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি। যেমন- নদী, খাল, বিল, হ্রদ, পুকুর, সমুদ্র, কৃত্রিম জলাধার ইত্যাদি।


ভূ-গর্ভস্থ পানি (Underground Water)

ভূ-ত্বকের নিচ হতে যত পানি পাওয়া যায়, সবই ভূ-গর্ভস্থ পানি। “Fraw well' এবং 'Tube well' খনন করে পানি সংগ্রহ করা হয়। যেখানে ভূ-ত্বকের অল্প নিচে প্রচুর পরিমাণ পানি পাওয়া যায়, সেখানে অনুস্রবণ সুড়ঙ্গ, নল বা অনুপ্রবণ কূপের সাহায্যে পানি সংগ্রহ করা হয়। কোন কোন অঞ্চলে বার্না বা আর্টেসীয় কূপ হতে প্রচুর পানি পাওয়া যায়। পৃথিবীতে ব্যবহারযোগ্য বিশুদ্ধ পানির প্রায় ৯৭% পানিই ভূ-গর্ভস্থ পানি হতে সংগ্ৰহ করা হয়।


ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি ( Surface Water)

নদী-নালা, কৃত্রিম জলাধার, পুকুর ও হ্রদ হলো ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির প্রধান উৎস। বর্ষাকালে এসব উৎস হতে যথেষ্ট পরিমাণ পানি অনায়াসে এবং স্বল্প ব্যয়ে পাওয়া যায়। তবে গ্রীষ্মকালে পানির পরিমাণ হ্রাস পায়। আবার অনাবৃষ্টি এবং অতিবৃষ্টির ফলে ঐ স্থানগুলোতে পানির পরিমাণের তারতম্য হয়। প্রয়োজনীয় পানি সর্বদা পাওয়ার জন্য নদীতে উপযুক্ত স্থানে বাঁধ বা Weir নির্মাণ করা হয়। ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিমাণ উৎসের

Catchment Area' এর পরিমাণ ও ঐ স্থানের বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে। বর্ষাকালে কৃত্রিম জলাধারে পানি ধরে রেখে শুকনো মৌসুমে বা অনাবৃষ্টির সময় তা ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশের উত্তরাঞ্চলে গ্রীষ্মকালে নদীর পানির বেশ ঘাটতি থাকে, কিন্তু দেশের দক্ষিণাংশের নদীগুলোতে সারা বছরই প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে।


অন্য পোষ্ট : Cutting Tools | Measuring Tools | Machine Tools | toos

পানির শ্রেণিবিন্যাস

নিচে পানির শ্রেণিবিন্যাস আলোচনা করা হলো 

১। প্রাপ্তিস্থান অনুসারে

ক) বৃষ্টির পানি

প্রাকৃতিক উপায়ে আমরা বৃষ্টি হতে যে পানি পাই, তাই বৃষ্টির পানি। এ পানি সর্বাপেক্ষা বিশুদ্ধ । তথাপি এতেও দ্রবীভূত ও ভাসমান অবস্থায় কঠিন ও বায়বীয় পদার্থ অপদ্রব্য হিসেবে থাকতে পারে। বৃষ্টির পানিতে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, অ্যামোনিয়া, নাইট্রিস এসিড, সালফিউরিক এসিড ও সালফার ডাই অক্সাইড থাকতে পারে।


খ) ঝর্ণা ও কুয়ার পানি

বৃষ্টির পানি ভূ-পৃষ্ঠে পতিত হবার পর মাটির স্বছিদ্র স্তর ভেদ করে ভূ-গর্ভে প্রবেশ করার সময় বালি, মাটি, পাথর ইত্যাদি দিয়ে পরিস্রত হয় এবং ভূ-গর্ভের অভেদ্য স্তরে সঞ্চিত হয়। কূপ খননের মাধ্যমে প্রাপ্ত এ পানিই কুয়ার পানি এবং এটি পাথর ভেদ করে যখন বাইরে আসে, তখন একে ঝর্ণার পানি বলে। এ পানিতে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় লবণ, এমনকি লোহার যৌগ দ্রবীভূত অবস্থায় থাতে।


গ) নদীর পানি

নদীর পানি উন্মুক্ত এবং বিভিন্ন মাধ্যম গড়িয়ে এসে নদীতে পড়ে বলে এ পানিতে ধাতব লবণ, জৈব পদার্থ এবং ভাসমান পদার্থ থাকে। অদ্রবণীয় পদার্থের উপস্থিতির কারণে নদীর পানি ঘোলা দেখায়।


ঘ) সমুদ্রের পানি

সমুদ্রের পানিতে সর্বাধিক পরিমাণ অপদ্রব্য দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। এতে দ্রবীভূত অপদ্রব্যের পরিমাণ প্রায় ৩.৬%।


২। দ্রবীভূত অপদ্রব্যের পরিমাণ অনুসারে

ক) মিঠা পানি

যে পানিতে অতি সামান্য পরিমাণ অপদ্রব্য দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে তাকে মিঠা পানি বলে। এ পানি স্বাদহীন হয়।


খ) খনিজ পানি

ঝর্ণার পানিতে যখন অত্যধিক পরিমাণে কার্বন ও বায়বীয় পদার্থ অপদ্রব্য হিসেবে দ্রবীভূত থাকে, তখন এটিই বিশেষ স্বাদ ও গুণসম্পন্ন হয় এবং এ পানিকে খনিজ পানি বলে।

৩। পানির উপযোগিতা অনুসারে 

ক) পেয় পানি

যে পানি, স্বাদহীন, বর্ণহীন ও রোগজীবাণুমুক্ত এবং যে পানিতে সামান্য পরিমাণ ধাতব লবণ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে তাকে পেয় পানি বলে।


খ) অপেয় পানি

যে পানি দূষিত এবং যাতে অধিক পরিমাণে ধাতব লবণ ও অন্যান্য ক্ষতিকারক অপদ্রব্য ভাসমান অবস্থায় বর্তমান থাকে তাকে অপেয় পানি বলে।


অন্য পোষ্ট : Metals | Ferrous Metals | Non-Ferrous Metals | Grinding

৪। সাবান ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে 

ক) খর পানি

যে পানিতে প্রচুর পরিমাণে সাবান ঘষলেও সহজে সাবানের ফেনা হয় না তাকে খর পানি বলে।


খ) মৃদু পানি

যে পানিতে সহজে সাবানের ফেনা হয় তাকে মৃদু পানি বলে।


underground water line | surface water definition | coagulation, chlorination

 জনপ্রতি প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণ

দৈনিক জনপ্রতি পানির হিসাবে ও পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রেগুলো উল্লেখ করা হলো

১। বাড়িঘর (গৃহস্থালি) :

৯০ লিটার থেকে ১৩৮ লিটার

২। কারখানা বা ফ্যাক্টরি : ৩০ লিটার থেকে ৪৫ লিটার

৩। হাসপাতাল : 

ক) ১০০ শয্যা পর্যন্ত : ৩৪০ লিটার

খ) ১০০ শয্যার উর্ধ্বে : ৪৫৫ লিটার

৪। ছাত্রছাত্রী বা লেখাপড়ারত লোকদের আবাসিক দালানে : ১৩৫ লিটার

৫। অফিস : ৪৫ লিটার

৬। রেস্তোরাঁ : ৭০ লিটার

৭। হোটেল: ১৮০ লিটার

৮। সিনেমা, থিয়েটার, নাট্যমঞ্চ ইত্যাদি : ১৫ লিটার

৯। স্কুল-কলেজ : ৪৫ লিটার


বাড়িঘরে ব্যবহারের পরিমাণ জনপ্রতি দৈনিক

ক) খাওয়ার জন্য : ৩ থেকে ৫ লিটার

খ) রান্নার জন্য : ৫ থেকে ৮ লিটার

গ) ধোয়া-মোছার জন্য : ১২ থেকে ২২ লিটার

ঘ) গোসলের জন্য : ৪৫ থেকে ৬৭ লিটার

ঙ) পায়খানার জন্য : ২৭ থেকে ৩৬ লিটার


 পানি কোয়াগুলেশন, ফ্রকুলেশন, সেডিমেন্টেশন, ফলট্রেশন, ক্লোরিনেশন ইত্যাদির বর্ণনা

কোয়াগুলেশন :

পানিতে বেশি পরিমাণে ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র, ভাসমান ও কলোয়েড কণাগুলো বিদ্যমান থাকে, যাদের ভর কম বলে। অভিকর্ষণ টানে পতন বেগ কম, তাদেরকে স্বাভাবিক অবরোধকালে সাধারণ থিতানো পদ্ধতিতে পৃথক করা সম্ভব হয় না বলে ঐ সব ভাসমান সূক্ষ্ণ কণাগুলোকে একত্রিত করে অপেক্ষাকৃত বড় কণা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পানির সাথে কতিপয় রাসায়নিক পদার্থ মেশাতে হয়। মিশ্রণের পর রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সূক্ষ্ম ভাসমান কণা ও জীবাণুগুলো একত্রিত হয়ে বড় ও ভারী হয়ে যায়। ফলে পতন বেগ বেড়ে যায় এবং জলাধারের তলদেশে জমা হয়। যে পদার্থের সাহায্যে পানিতে বিদ্যমান ক্ষুদ্র কণাগুলো একত্রিত হয়ে জেলির আকারে নিচে থিতিয়ে পড়ে, তাকে বলা হয় কোয়াগুলেন্ট এবং এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় কোয়াগুলেশন। কোয়াগুলেন্ট হিসাবে সাধারণত ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থগুলো :

ক) অ্যালুমিনিয়াম সালফেট Al2 (SO4)3 

খ) ফেরাস সালফেট FeSO4

গ) ফেরিক সালফেট Fe (SO4)3

ঘ) ফেরিক ক্লোরাইড FeCl3

ঙ) সোডিয়াম অ্যালুমিনেট Na3Al2O4 

চ) সোডিয়াম কার্বনেট NaCO3

ছ) লাইম (চুন) CaCO3 

জ) ক্লোরিন Cl2


অন্য পোষ্ট : Machine Tools | doosan machine tools | Operation Trade

কোয়াগুলেশন বিভিন্ন ধাপে সম্পন্ন হয়। যেমন

ক) সঠিক ও পর্যাপ্ত পরিমাণ কোয়াগুলেন্টের সংমিশ্রণ। খ) সজোেড় আলোড়নের মাধ্যমে পানির সাথে কোয়াগুলেন্টের সুষম ও ঘনিষ্ঠ সংমিশ্রণে।

গ) ধীরে আলোড়নের সাহায্যে ফ্লক সৃষ্টিতে সহায়তা করে। 

ঘ) ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফ্লকগুলোর পরস্পর সংযোজনে।

ঙ) ক্লারিফিকেশন বা সেডিমেনটেশনের মাধ্যমে।


ফ্লকুলেশন

ফ্লক প্রস্তুতকরণের ফ্লাকুলেশন বলে। ফ্লক প্রস্তুতির তিনটি ধাপ আছে। যথা

ক) কোয়াগুলেন্ট পদার্থেন্ট মাত্রা নির্ধারণ।

খ) পানিতে নির্দিষ্ট মাত্রায় কোয়াগুলেন্ট পদার্থ প্রক্ষেপণ। 

গ) ফ্লক দৃষ্টিগোচর না হওয়া পর্যন্ত কোয়াগুলেন্ট পদার্থকে পানিতে উপযুক্ত ও সমভাবে মিশ্রণ।

পানিতে কোয়াগুলেন্ট ভালোভাবে মেশানোর পরের ধাপ হলো ফ্রোকায়ন। এ জন্য উল্লম্বভাবে বা অনুভূমিক ভাবে স্থাপিত প্যাডযুক্ত শ্যাফ্ট-এর ব্যবস্থাসহ যান্ত্রিক বেসিন ব্যবহার করা হয়। 

মন্থর গতিতে শ্যাট্ ঘুরানো হয়। ফলে পানিতে চক্রাক ঘর্ণনের সৃষ্টি হয়। ঘূর্ণনের ফলে অপদ্রব্যের কণাগুলো পরস্পর সংস্পর্শে আসে এবং বড় দানা বা ফ্লকে রূপান্তরিত হয়। বেসিনে পানি প্রবেশ এবং বের হবার জন্য পথ থাকে। ফ্লোকায়নের জন্য ব্যালযুক্ত চ্যানেলও ব্যবহার করা হয়। 

এক্ষেত্রে চ্যানেলের দুই বিপরীত দেয়ালের সাথে নির্দিষ্ট দূরত্বে একান্তরভাবে ব্যাহ্নু স্থাপন করা হয়। কোয়াগুলেন্টযুক্ত পানি এ চ্যানেলের এক প্রাপ্তে প্রবেশ করানো হয় এবং ঐ পানি ব্যাযুক্ত চ্যানেলের বাঁকা পথ অতিক্রম করতে থাকে। বাঁকা পথ অতিক্রম করার সময় নিলম্বিত কণাগুলো পরস্পর সংস্পর্শে এসে ফ্লক উৎপন্ন করে।


সেডিমেন্টেশন

পানিতে থিতানোযোগ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জৈব ও অজৈব ভাসমান পদার্থ এবং ঐ সাথে কিছু কলোরেড জাতীয় কণা ট্যাংকের তলদেশে স্লাজ আকারে থিতিয়ে পড়াকে সেডিমেন্টেশন বলে। মূলত কোয়াগুলেশন প্রক্রিয়ার ফলেই সেডিমেন্টেশন হয়।


ফিলট্রেশন

কোয়াগুলেশন ও সেডিমেন্টেশন প্রক্রিয়ার পর পানিকে বালি ও পাথরের স্তরের ভেতর দিয়ে চালনা করা হয়। বালি এবং পাথর একটি কংক্রিট বা স্টিল বেসিনের ভেতর স্তরে স্তরে সাজানো থাকে। এ স্তরগুলোর ভেতর দিয়ে পানিকে চালনা করলে ক্ষুদ্র কণা, ছোট অর্গানিজম, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি বালুর স্তরে আটকে যায় এবং পরিসূত পানি পয়ঃপ্রণালির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় পানির স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ এবং আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজ দূর করতে সহায়তা করে। ফিলট্রেশন দিয়ে প্রায় সকল প্রকার রোগজীবাণু দূরীভূত করে পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানি পাওয়া যায়। তবে মাঝে মাঝে ফিল্টার পরিষ্কার করতে হয়।


ফিলট্রেশনে ব্যবহৃত ফিল্টার প্রধানত দুই প্রকার। যথা

 ১) অভিকর্ষ ফিল্টার (Gravity filter) 

ক) ধীরগতি বালি ফিল্টার (Slow sand filter) 

খ) দ্রুতগতি বালি ফিল্টার (Rapid sad filtert) 

গ) চাপ ফিল্টার (Pressure filter)


ক্লোরিনেশন

সেডিমেন্টেশন, কোয়াগুলেশন এবং ফিলট্রেশন কাজ সম্পন্ন করার পরও পানিতে সামান্য পরিমাণ ব্যাধিজনক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। পানিতে পরিমাণমতো ক্লোরিন প্রয়োগ করে এসব ব্যাকটেরিয়ার জীবননাশ করার প্রক্রিয়াকে ক্লোরিনেশন বলে।


পানিতে ক্লোরিন প্রয়োগ পদ্ধতি 

(১) কঠিন ক্লোরিন

কঠিন ক্লোরিন বলতে কালসিয়াম হাইপোক্লোরাইডকে বোঝায় যা ব্লিচিং পাউডার নামে সর্বাধিক পরিচিত। এতে ৩০% - ৩৫% ক্লোরিন থাকে। বর্তমানে কঠিন ক্লোরিন এইচটি এইচ (হাই টেস্ট হাইপোক্লোরাইড) পাউডার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে প্রায় ৬৫% ৭৫% ক্লোরিন থাকে। এটি সহজে পানিতে দ্রবণীয় ও সহজলভ্য।


২) তরল ক্লোরিন

এটি উঁচু চাপে বোতলে তরল অবস্থায় থাকে। তরল ক্লোরিন পানির সরবরাহ লাইনে বুস্টার পাম্পের সাহায্যে সরাসরি প্রয়োগ করা হয়।


৩) গ্যাস ক্লোরিন

বিশুদ্ধ ক্লোরিন গ্যাস অত্যন্ত শক্তিশালী জীবাণুনাশক। বৃহদাকার পানি শোধনের ক্ষেত্রে সাধারণত ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।


পানির পিএইচ মান

পানি অম্লতা ও ক্ষারীয়তা পিএইচ স্কেলে মাপা হয়, যা হাইড্রোজেন আয়ন কনসেনট্রেশনের একটি প্রতীক।

PH পোটেনশন অব হাইড্রোজেন উৎস হতে উদ্ভূত। PH পরীক্ষায় পানির মাঝে Acid অথবা Alkali এর শক্তির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়, অপরদিকে অম্লতা এবং ক্ষারীয়তার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষায় পানিতে অম্ল ও ক্ষারের উপস্থিতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। আয়ন একটি পরমাণু যা ইলেকট্রিক চার্জ বহন করে। পানিতে ধন বিদ্যুত্যুক্ত হাইড্রোজেন আয়নের দরুণ (H+) অম্লতা এবং ঋণ বিদ্যুতযুক্ত হাইড্রক্সিল আয়ন (OH-) এর দরুন ক্ষারতা সৃষ্টি হয়। বিশুদ্ধ পানিতে ১০-৭ গ্রাম/ লিটার (H+) আয়ন থাকে এবং এটা এসিডও নয়, আবার ক্ষারও নয়। একে নিরপেক্ষ পানি বলে।

PH-এর মান ৭ হলে বিশুদ্ধ পানি।

PH-এর মান ৭ এর কম হলে অম্লতা।

 PH -এর মান ৭ এর বেশি হলে ক্ষারতা।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url